হেমোক্লিন
উপাদান :
প্রতি ৫ মিলিতে আছে-
মঞ্জিষ্ঠা ৬২.৫০ মিলিগ্রাম
কুটজ ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
গুড়চী ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
মুস্তক ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
বচ ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
শুঁঠ ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
হরিদ্রা ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
দারুহরিদ্রা ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
নিম ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
দেবদারু ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
খদির ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
চিরতা ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
রক্ত চন্দন ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
ক্ষেতপাপড়া ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
অনন্তমূল ২০.৮৩ মিলিগ্রাম
অন্যান্য উপাদান প্রয়োজনমত
সূত্র: মঞ্জিষ্ঠাসব, বা.জা.আ. ফ,২০০৯
বর্ণনা:
প্রধানত রক্তবহ ও রসবহ স্রোতে কার্যকর বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত সুনির্বাচিত রস-রক্ত পরিশোধক নিরাপদ ভেষজ উপাদানের সংমিশ্রণে উৎপাদিত হেমোক্লিন সিরাপ লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন এবং মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড, ফুস্ফুস্, যকৃত, বৃক্ক, প্রভৃতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোষ-কলায় বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে। সিরাপ হেমোক্লিন মলমূত্র ঘামের মাধ্যমে শরীরের অসার বর্জ্য পদার্থসমূহ নিঃসরণে সাহায্য করে, ত্বকের নিচে সঞ্চিত ক্লেদ নিঃসরণ করে ত্বককে কমনীয়, মহোনীয় ও লাবণ্যময় করে। চুলকানি, খোস-পাঁচড়া, ফুস্কুড়ি, ব্রণ, বির্স্প, ত্বকের জ্বালাপোড়া, আর্টিকেরিয়া, ক্ষত প্রভৃতি চর্মরোগ ও ত্বকদোষ নির্মূল হয়।সিরাপ হেমোক্লিন হজম শক্তি এবং পরিপাকতন্ত্রের গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে মলত্যাগ স্বাভাবিক করায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । অর্শ, আমাশয়, ক্রিমি , জীর্ণজ্বর, রজঃকৃচ্ছতা প্রভৃতি নিরাময়ে হেমোক্লিন সাহায্য করে। হেমোক্লিন ছত্রাকনাশক, ভাইরাসরোধক ও জীবাণুনাশক। রোগজীবাণু ধ্বংস সাধনের ফলে জীবাণুর কারণে সৃষ্ট ব্যথা-বেদনা, শোথ-ফোলা, জ্বর, প্রদাহ, কন্ডু, পামা প্রভৃতি দূর করতে সাহায্য করে । হেমোক্লিন সর্বদৈহিক বহু ব্যাপক কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিশ্চিত করে, অঙ্গীয় কোষ কলা সুরক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সুস্থ নিরোগ দেহ আর লাবণ্যময় উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হেমোক্লিন একটি আদর্শ ঔষধ যা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সমভাবে কার্যকরী।
কার্যকারিতাঃ
রক্তদূষণ, ত্বকদোষ বা চর্মরোগ যেমন-ব্রণ, ফোঁড়া, ফুস্কুড়ি, খোস-পাঁচড়া, চুলকানি, ঘামাচি, রক্তোদ্ভেদ, অ্যালার্জি, বাতরক্ত বা আর্টিকেরিয়া, একজিমা, শ্বেতী, পামা, হাঁজা, সোরিয়াসিস, কুষ্ঠ, ত্বকের মালিন্য বা বিবর্ণতা প্রভৃতি। তাছাড়া রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তক্ষরণ, জীবাণুসংক্রমণ, অর্শ, জ্বর, জীর্ণজ্বর, অরুচি, কোষ্ঠকাঠিন্য, মূত্রকৃচ্ছতা বা প্রসাবে জ্বালাপড়া, কলেস্টেরলাধিক্য, প্রদাহ, শোথ, গাত্রদুর্গন্ধ, রক্তপ্রদর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব ।
সেবনবিধি:
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২-৪ চা চামচ দৈনিক ১-২ বার
অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ চা চামচ দৈনিক ১-২ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য ।
কোষ্ঠকাঠিন্যে হেমোক্লিন রাতে শোবার সময় গরম দুধ বা গরম পানিসহ সেব্য । চর্মরোগের প্রকৃতি ও স্থায়ীত্বভেদে হেমোক্লিন ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। অবস্থাভেদে হেমোক্লিন ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবনীয় । রোগ প্রতিরোধ, সুস্বাস্থ্য ও ত্বকের স্বাস্থ্যে প্রতিমাসে ৩-৪ দিন হেমোক্লিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় ।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াঃ
নির্দেশিত মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। তবে তিক্ততার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে বমি বা বমিভাব দেখা দিতে পারে, সেক্ষেত্রে পানি, দুধ বা ফলের রস মিশিয়ে সেবনে এ সমস্যা দূর হয় ।
প্রতিনির্দেশঃ
হেমোক্লিনের কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যবহার বাদ দেওয়া সমীচীন ।
সংরক্ষণ:
আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও শীতল স্থানে রাখুন । সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
পরিবেশনাঃ
প্রতি পেট বোতলে ৪৫০ মিলি সুগন্ধযুক্ত সিরাপ আকারে হেমোক্লিন বাজারজাত করা হয় ।