জেনিটল অয়েল
উপাদান:
প্রতি ৫ মিলিতে আছে
তিল তৈল ৫.৬৩ গ্রাম
শতাবরী রস ৫.৬৩ মিঃ লি
শ্বেতচন্দন ৪২.২৫ মি. গ্রা.
রক্তচন্দন ৪২.২৫ মি. গ্রা.
রা¯œা ৪২.২৫ মি. গ্রা.
এলাচ ৪২.২৫ মি. গ্রা.
গুড়ত্বক ৪২. ২৫ মি. গ্রা.
ইন্দযব ৪২.২৫ মি. গ্রা.
জায়ফল ৪২.২৫ মি. গ্রা.
অগুরু ৪২.২৫ মি. গ্রা.
অন্যান্য উপাদান পরিমান মত
সূত্র: প্রমেহ মিহির তৈল, বা. জা. আ. ফ, ২০০৯
বর্ণনা:
সুনির্বাচিত উদ্ভিজ্জ উপাদানে তৈরি প্রমেহাদি রোগে বাহ্যিক ব্যবহার্য জেনিটল অয়েল প্রমেহজনিত কারণে সৃষ্ট পুংজননেন্দ্রিয়ের ক্ষীণতা, শীর্ণতা, শিথিলতা, কৃশতা, ধ্বজভঙ্গ, বাতরোগ ও ব্যথাবেদনা প্রশমক। ত্রিদোষের দীর্ঘস্থায়ী অধিষ্ঠান বা অবস্থান প্রমেহ রোগের কারণ। বায়ূ- পিত্ত-কফ কুপিত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং অন্যবিধ উপদ্রব যোগ হয়ে মেহরোগ প্রমেহে পরিণত হয়। ভেষজ উপাদানসমূহ এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যাতে বাতজ, পিত্তজ, কফজ- সব ধরনের প্রমেহ-আশ্রিত পুংজননেন্দ্রিয়ের ত্রæটি এবং বাতজ-ব্যাধি বাহ্যিক ব্যবহারে নির্মূল হয়। প্রমেহের কারণে ঘোলাটে ও দুর্গন্ধ যুক্ত প্র¯্রাব নির্গত হয়। প্র¯্রাবের সঙ্গে দেহস্থ ধাতব ও পুষ্টি উপাদান নির্গত হয়। পুরুষাঙ্গের ¯œায়ুসমূহ দুর্বল, রগঢিলা ও কোষকলার জড়তা দেখা দেয়। লিঙ্গ ক্ষুদ্র, বক্র, ক্ষীণ ও শীর্ণ হয়। লিঙ্গ দুর্বল ও নিস্তেজ হয়। লিঙ্গের উত্থান ও উত্তেজনা হ্রাস পায়। উত্থান বা ইরেকশন স্বল্পস্থায়ী হয়। ফলশ্রæতিতে ধ্বজভঙ্গ দেখা দেয়। প্রমেহের কারণে মাংসপেশির ব্যাথাবেদনা, প্রদাহ ও বাতব্যধি দেখা দেয়। জেনিটল অয়েল জননেন্দ্রিয়ের এসব ত্রæটি বা দোষ এবং বাতব্যধি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী
কার্যকারিতা ও রোগ নির্দেশিকা:
প্রমেহজনিত কৃশতা, পুংজননেন্দিয়ের শীর্ণতা, ক্ষীণতা, বক্রতা, পুরুষাঙ্গের দুর্বলতা, নিস্তেজভাব, শিথিলতা, লিঙ্গউত্থানে অপারগতা, স্বল্পকালস্থায়ী লিঙ্গোত্থান, দ্রæত বীর্যপাত, কামভাবের অভাব, ধ্বজভঙ্গ (ওসঢ়ড়ঃবহপু) এবং প্রমেহ আশ্রিত মাংসপেশির ব্যথা-বেদনা ও বাতরোগ।
ব্যবহারবিধি:
লিঙ্গমুন্ডু বাদ দিয়ে পুরুষাঙ্গে দিনে ২ বার হালকাভাবে জেনিটল অয়েল মালিশ করতে হবে। কমপক্ষে শোয়ার পূর্বে একবার লাগাতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।
ঔষধটি লাগানোর সাথে সাথে স্ত্রী সহবাস অনুচিত, কমপক্ষে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করা সমীচীন। বাতরোগের ক্ষেত্রে প্রদান্বিত বেদনাস্থলে দিনে ২ বার লাগাতে হবে।
পার্শ্ব- প্রতিক্রিয়া:
নির্ধারিত নিয়মে লিঙ্গমুন্ডু (মষধহং) বা পুরুষাঙ্গের কোমল অগ্রভাগ বাদ দিয়ে মিথুনদন্ডে (ংযধভঃ) লাগালে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।
প্রতি নির্দেশঃ
প্রাথমিক অবস্থায় পুরুষাঙ্গে ফুসকুড়ি দেখা দিলে অথবা ঔষধির কোন উপাদানের প্রতি অতি-সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে ঔষধটির ব্যবহার বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফুসকুড়ি দেখা দিলে ১/২ দিন নারকেল তে লাগালে সেরে যাবে এবং তেলটি পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
সতর্কতা:
তেলটি ব্যবহারের সময় কোনক্রমে যেন চোখে না লাগে এবং পেটে না যায়। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখতে হবে।
পরিবেশনা:
সুদৃশ্য প্লাষ্টিক কন্টেইনারে ২০ মিলি/ ৫০ মিলি/ ১০০ মিলি সুবাসিত তেল আকারে পরিবেশিত।