আমলাসল
উপাদানঃ
প্রতি ৫ মিলিতে আছে-
আমলকী (Emblica officinalis) ৩.০৩ মি. লি
পিপুল (Piper longum Linn) ০.১২ গ্রাম
সূত্র: আমলকী রসায়ন, বা.জা.আ. ফ,২০০৯
বর্ণনাঃ
আমলাসল সিরাপ অত্যন্ত সুপরিচিত শক্তিশালী ও ভেষজ গুণসম্পন্ন কার্যকর দুইটি উপাদান আমলকী ও পিপুল সহযোগে উৎপাদিত ।শিশু, বৃদ্ধ, সকল বয়সে সকল ঋতুতে সমভাবে উপযোগী আমলাসল সিরাপের কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত । আমলকী পরিপাক ও পরিশোষণ ক্রিয়া সুসংহতকরণের মাধ্যমে দেহ কোষকলার পুষ্টিসাধন করে । এতে যকৃত, প্লীহা, হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ নিশ্চিত হয় । আমলাসল সিরাপ সেবনে কার্ডিয়াক গ্লাইকোজেন বৃদ্ধি পায় এবং SGOT, SGPT ও LDL কলেস্টেরল মাত্রা হ্রাস পায় যা হৃদরোগ, কামলা, ন্যাবা, রক্তনালীর সংকীর্ণতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ঔষধ টির উপযোগিতা নির্দেশ করে। অসার পদার্থ প্রাকৃতিক উপায়ে নিষ্কাশন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন, দৃষ্টিশক্তির উন্নয়ন ও বলবর্ধনে সিরাপ আমলাসল অদ্বিতীয় । অ¤øাধিক্য, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস, হৃদপিন্ডের দুর্বলতা স্কার্ভি, গেঁটেবাত প্রভৃতি নিরাময়ে কার্যকরী ।
রোগ নির্দেশনাঃ
আমলাসল পান্ডু বা রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস, অম্লপিত্ত বা অম্লাধিক্য(Gastritis), বাতরক্ত বা গেঁটেবাত(Gout), ভিটামিন-সি স্বল্পতা ও স্কার্ভি রোগে নির্দেশিত । তাছাড়া এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে অকালবার্ধক্য রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চুলপড়া বন্ধ করে, জীবাণুসংক্রমণ, পোড়া ও ক্ষতপূরণ এবং হৃদযন্ত্র, রক্তনালী ও ফুসফুসের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১-২ চা চামচ ঔষধ দিনে ২-৩ বার
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ ১ চা চামচ ঔষধ দিনে ২ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য ।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াঃ
নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে উল্লেখযোগ্য কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। আমলাসল একটি নিরাপদ ও সুসহনীয় ঔষধ ।
প্রতিনির্দেশঃ
আমলাসলের কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এবং গর্ভের প্রথম মাসে ও কিডনী রোগে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা সমীচীন।
সংরক্ষণ:
আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও শীতল স্থানে রাখুন । সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
পরিবেশনাঃ
PET বোতলে ৪৫০ মি.লি. আমলাসল সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত সিরাপ আকারে পরিবেশিত হয় ।